চুলের যত্ন

শেয়ার করুন

সুচিপত্র

ঘরের তৈরী উপকরণ দিয়ে চুলের যত্ন

ডিম, মধু, ময়দা এগুলোর নাম শুনলে ই মজাদার নাস্তার কথা মনে পরে। কিন্তু এগুলো এখন আমরা চুলের পরিচর্যা্র উপাদান এর জন্য ও ব্যবহার করতে পারি।শুধু এগুলু ই নয়, রান্নাঘরের আর উপাদান দিয়ে আমরা ঘরেই বানিয়ে নিতে পারি সহজলভ্য প্যাক যা আমাদের চুলকে করবে আরও আকর্ষনীয় ও সুন্দর। বাসায় প্রাকিতিক বানানো প্যাক ব্যবহার করে একদিক দিয়ে যেমন আমরা অনেক টাকা সেভ করতে পারি তেমনি বাজারের কামিক্যাল প্রডাক্ট এর পার্শপ্রতিক্রিয়া থেকেও চুলকে রক্ষা করতে পারি।

চুলের ধরন এর উপর ভিত্তি করে পাচকগুলু ও ভিন্ন হয়ে থাকে। আসুন দেখা নেয়া যাক, চুলের ধরন এর ভিন্নতার ওপর ভিত্তি করে কয়েকটি প্যাক

সব ধরনের চুলের জন্যঃচুলের যত্নের জন্য ডিম একটি প্রয়জনীয় উপাদান। সাভাবিক চুলের জন্য সম্পুর্ন ডিমটাকে কন্ডিশনার হিসাবে ব্যবহার করুন। তৈলাক্ত চুলের ক্ষেত্রে ডিমের সাদা অংশ ব্যবহার করুন এবং শুষ্ক চুলের ক্ষেত্রে ডিমের কুসুম। শ্যাম্পু করার ৩০ মিনিট আগে ডিমের যেকোনো একটা মিশ্রন সম্পুর্ন চুলে ভালভাবে লাগিয়ে নিতে হবে। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। সম্পুর্ন ডিম এবং ডিমের কুসুম মাসে একবার ব্যবহার করা উচিত। কিন্তু ডিমের সাদা অংশ প্রতি ২ সপ্তাহে এরবার ব্যবহার করা যেতে পারে।

নিস্প্রান চুলের জন্য:বাজারের বিভিন্ন ব্রান্ড এর শ্যাম্পু, কন্ডিশনার ব্যবহার ও বাইরের ধুলা ময়লার জন্য চুল অনেক নিস্প্রান করে দেয়। কিন্তু নিত্যপ্রয়জনীয় উপাদান যেমন টকদই অথবা মাখন চুলের ভাঙ্গা প্রতিরোধ করে এবং চুলকে সাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সাহপ্রতিরোধ করে এবং চুলকে সাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। আধা কাপ টকদই একটা বাটিতে নিয়ে ভালোভাবে ফেতে নিতে হবে। তারপ তার সাথে পাকা কলা চটকে নিয়ে সম্পুর্ন চুলে মেখে ২০ মিনিট রেখে দিয়ে হবে। শুকিয়ে গেলে, কুসুম গরম পানিতে ভালভাবে শ্যাম্পু করে নিতে হবে। এটা প্রতি সপ্তাহে একবার করা যেতে পারে।

খুশকিযুক্ত চুলের জন্য:মাঝে মাঝে বাইরের ধুলাবালির জন্য মাথায় খুশকির জন্ম নেয়। মাথায় তককে শুস্ক করে ফেলে। এ সময় চুলের কিছুটা এক্সট্রা যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। এক্ষত্রে লেবুর রস ও অলিভ ওয়েল ব্যবহার করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। ২ টেবিল চামুচ ফ্রেশ লেবুর রস এর সাথ ২ টেবিল চামুচ অলিভ অয়েল ও ২ টেবিল চামুচ পানি একসাথে মিশিয়ে মাথার তক এ ম্যসাজ করতে হবে। ২০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে। সপ্তাহে একবার এই ম্যাসাজ করলে খুশকি দূর হয়।

শুস্ক এবং রোদে পোড়া চুলের জন্য:রোদে পোড়া ও শুস্ক চুলের জন্য মধু অনেক উপকারি। ২ টেবিল চামুচ মধুর সাথে সামান্য গরম পানি মিসিয়ে মাথায় লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে। মাঝে মাঝে চুলের প্রটিন এর জন্য মধুর সাথে ডিমের কুসুম মিক্স করে সম্পুর্ন চুলে লাগাতে হবে। এটা রোদের UV রশ্মি থেকে রক্ষা করে। এটা মাসে একবার ব্যবহার করা যেতে পারে।

তৈলাক্ত চুলের জন্য:তৈলাক্ত চুলের জন্য ভুট্টার গুরা অনেক উপকারি। ২ টেবিল চামুচ ভুট্টার গুরা সামান্য একটু পানি মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে ১০ মিনিট রাখতে হবে। তারপর মোটা চিরুনি দিয়ে আচরে নিতে হবে। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই প্যাক তা প্রতিদিন ব্যবহার করতে চুলের তৈলাক্ততা কমে।

কালো সিল্কি চুলের জন্য : মেথি, শিকাকাই, রিঠা, গিলা, মেহেদি চুলকে অনেক সিল্কি করে তুলে। কয়েক্তা মেথি, ১ টা আমলকী, ১/২ গিলা, ১ তা রিঠা আগের দিন রাতে পানিতে ভিজ়িয়ে রাখতে হবে। তারপর সকালে সেটা ব্লেন্ড করে সম্পুর্ন চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে দিতে হবে। তারপর ঠান্ডা পানিতে চুল ধু্যে শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে। এতে চুল আরো সুন্দর ও উজ্জ্বল হবে।