জেনে রাখা ভালো: কিছু দরকারি তথ্য

শেয়ার করুন

সুচিপত্র

জ্বর হলে যা করবেন

►     পরিপূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে। শরীরের তাপমাত্রার রেকর্ড রাখতে হবে।

►     লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা দিলেই চলে। প্রথম তিন দিন পর্যন্ত প্যারাসিটামল গ্রুপের ওষুধ ছাড়া অন্য কোনো বা অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধ সেবন নয়। ১০১ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি হলে প্যারাসিটামল দিনে তিনবার খাওয়া যেতে পারে। শিশুদের জন্য দেওয়া যেতে পারে প্যারাসিটামল গ্রুপের ড্রপ বা সিরাপ।

►     জ্বর ১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি হলে হালকাভাবে মাঝে মাঝে গা মুছে দেওয়া ও পায়ুপথে সাপোজিটরি দিতে হবে।

►     সর্দি-কাশি থাকলে সকালে ও রাতে যেকোনো অ্যান্টি-হিস্টামিন জাতীয় ওষুধ সেবন করতে হবে।

►     ওষুধ সেবনের তিন থেকে চার দিনের মধ্যে জ্বর নিরাময় না হলে চিকিৎসকের পরামর্শে ইউরিন রুটিন, রক্তের সিবিসি, রক্তের বিডাল টেস্ট অথবা রক্তের কালচার করে ইউরিনের প্রদাহ, টাইফয়েড, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া বা অন্য কোনো জ্বর ধরা পড়লে সে অনুযায়ী চিকিৎসা চালাতে হবে।

জ্বর হলে যা করবেন না

►     জ্বর হলেই অ্যান্টিবায়োটিক নয়। কেননা প্রতিটি অ্যান্টিবায়োটিকেরই নিজস্ব ধরন রয়েছে। কোন জ্বরে কোন অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা হবে—এটি নির্ণয় করতে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিক শুরু করা ভালো।

মনে রাখতে হবে, ভাইরাসজনিত জ্বর হলে অ্যান্টিবায়োটিক কোনো কাজে আসে না। ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণজনিত কারণে জ্বর হলে সে ক্ষেত্রে যথাযথ অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা দরকার। এমনকি টাইফয়েড, ম্যালেরিয়া বা যক্ষ্মা হলে তার জন্য নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ ব্যবহার করতে হয়। তাই রোগ নির্ধারণ না করে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করলে একপর্যায়ে ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিকগুলো আর কাজ করে না। তখন দরকার পড়ে নতুন অ্যান্টিবায়োটিকের। এতে শরীরের দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি হয়।

►     ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়াবেন না। এতে বরং সমস্যা বাড়তে পারে।

►     কোনো ধরনের কায়িক পরিশ্রম করা ঠিক নয়। পরিপূর্ণ বিশ্রামে থাকুন। শিশুদেরও এ সময় স্কুলে পাঠাবেন না।

►     দিনে বা রাতে মশারি ছাড়া ঘুমাবেন না।

কিছু ভুল ধারণা

►     জ্বর হলে গোসল করা যাবে না—এটা ভুল ধারণা। বরং ঈষদুষ্ণ গরম পানিতে গোসল করা যায়।

►     জ্বর হলে কাঁথা-কম্বল বা লেপ দিয়ে শরীর ঢেকে রাখবেন না। যথাসম্ভব হালকা সুতি কাপড় পরিয়ে রাখুন।

জেনে রাখা ভালো

►     চিকুনগুনিয়ার কোনো প্রতিষেধক বা টিকা নেই।

►     এটি মানুষ থেকে মানুষে সরাসরি সংক্রমিত হয় না। রোগীর দ্বারা স্তন্যদান নিরাপদ। তাই মায়ের চিকুনগুনিয়া হলে দুধ খেতে শিশুর বাধা নেই।

►     একবার কারো চিকুনগুনিয়া হলে সাধারণত ভবিষ্যতে তার চিকুনগুনিয়ায় সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে না।