ব্যায়ামের প্রস্তুতি

শেয়ার করুন

সুচিপত্র

ব্যায়াম বা শরীরচর্চার জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় হলো ইচ্ছাশক্তি। ইচ্ছাশক্তি না থাকলে বাড়িতে বা ব্যায়ামাগারে ব্যায়ামের যত সরঞ্জামই থাকুক না কেন, কোনোটাই আপনার উপকারে আসবে না। ইচ্ছাশক্তির জোরে অভ্যাসগুলো গুছিয়ে নিতে হবে। সঠিক সময়ে ঘুমাতে হবে, সঠিক সময়ে উঠতেও হবে। খেতে হবে সঠিক সময়ে। নইলে ব্যায়ামের সময় বের করতে হিমশিম খেতে হতে পারে।

সবার আগে ব্যায়ামের উপযোগী পোশাক ও জুতা প্রয়োজন, যেগুলোতে সম্পূর্ণ স্বচ্ছন্দ থাকা যায়। বেশি আঁটসাঁট পোশাক পরবেন না, যেগুলোতে ব্যায়ামে অসুবিধা হয়। আবার এমন ঢিলেঢালা পোশাক পরাও ঠিক নয়, যাতে ব্যায়ামের সময় জড়িয়ে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটায়। অনেকে গান বা ধর্মীয় অডিও ক্লিপ শুনতে পছন্দ করেন ভোরবেলায়। ভোরে পার্কে জগিংয়ে বের হলে সঙ্গে রাখতে পারেন হেডফোন, এয়ারফোন। তবে রাস্তায় হাঁটার সময় দুর্ঘটনা এড়াতে অডিও ক্লিপটি বন্ধ রাখতে ভুলবেন না। পিঠে হালকা একটি ব্যাগ ঝুলিয়ে প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো রাখতে পারেন। একটা পানির বোতল রাখতে পারেন ব্যাগে। ডায়াবেটিস রোগীরা অবশ্যই হালকা শুকনা খাবার (যেমন বিস্কুট, খেজুর ইত্যাদি) নিয়ে ব্যায়াম করতে যাবেন, যাতে যেকোনো সময় রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যাওয়ার লক্ষণ দেখা দিলে চট করে খাবারটা খেয়ে নিতে পারেন।

বাড়িতে ব্যায়াম করলে এক্সারসাইজ ম্যাট, লাফ দড়ি, স্থির বাইসাইকেল, ট্রেডমিল, ডাম্বেল বা অন্য কোনো ওজনধারী বস্তু, স্ট্রেচিং বেল্টসহ (পেশি টান টান বা স্ট্রেচ করার জন্য) অনেক কিছুই রাখতে পারেন। বাড়িতে স্পিকারের মাধ্যমে অডিও ক্লিপ শুনতে শুনতেও ব্যায়াম করা যায়। ব্যায়াম যেখানেই করুন, সঙ্গে রাখতে পারেন স্মার্ট রিস্টওয়াচ, যা আপনাকে বলে দেবে আপনি সারা দিনে মোট কতগুলো পা ফেলেছেন। এ ছাড়া স্মার্টফোনে ফিটনেস অ্যাপ রাখা যায়, যা আপনাকে জানাতে পারবে ব্যায়ামের মাত্রা, ক্যালরি ক্ষয়ের পরিমাণ ইত্যাদি। এতে ব্যায়ামের উৎসাহ বাড়ে।