শিশুর জন্মগত ত্রুটি

শেয়ার করুন

সুচিপত্র

মায়ের গর্ভে থাকাকালীন সময়ে শিশুর জন্মগত ত্রুটির সমস্যা হতে পারে। গর্ভকালীন (Pregnancy) অবস্থার প্রথম ৩ মাসে অধিকাংশ জন্মগত ত্রুটির সৃষ্টি হয়।

জন্মগত ত্রুটি কি

জন্মগত ত্রুটি মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কাজ অথবা উভয়কেই প্রভাবিত করতে পারে। জন্মের পূর্বে, জন্মের সময়, অথবা জন্মের পর যেকোন সময়ে এই ত্রুটি দেখা দিতে পারে। অধিকাংশ জন্মগত ত্রুটি জন্মের প্রথম বছরের মধ্যেই দেখা যায়। কিছু ত্রুটি সহজেই চোখে ধরা পড়ে, আবার কিছু ত্রুটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ধরা পড়ে। জন্মগত ত্রুটি অল্প থেকে মারাত্মক হতে পারে। জন্মগত ত্রুটির ফলে অনেক শিশু মারাও যায়।

সাধারণ জন্মগত ত্রুটি

  • হৃদযন্ত্রের ত্রুটি
  • মেরুদন্ড এবং মস্তিষ্কের ত্রুটি (Neural tube defects)
  • ঠোঁট এবং মুখের তালুর ত্রুটি (Orofacial clefts)
  • ছেলে শিশুদের যৌনাঙ্গের ত্রুটি (Hypospadias)

শিশুর জন্মগত ত্রুটি শুরুর প্রক্রিয়া

জন্মের পূর্বেই শিশুর জন্মগত ত্রুটির প্রক্রিয়া শুরু হয়। এক্ষেত্রে নিচের কারণগুলো দায়ী :

  • বংশগত কারণে
  • পরিবেশগত কারণে। যেমন ধূমপান, মদপান
  • গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ফলিক এসিড না খেলে
  • গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মহিলার কোন সংক্রামক অসুখ, জ্বর হলে
  • গর্ভাবস্থায় অনিরাপদ কোন ঔষধ খেলে

জন্মগত ত্রুটি কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়

  • গর্ভধারণের পূর্বে পরিকল্পনা থাকা জরুরি
  • গর্ভধারণের আগে নিজের শারীরিক অবস্থার প্রতি লক্ষ্য রাখা
  • গর্ভধারণের আগে অস্বাভাবিক মোটাত্ব, বহুমূত্র/ডায়াবেটিস ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণে আনা
  • গর্ভধারণের পূর্বে এবং গর্ভকালীন সময়ে প্রতিদিন একটি করে 400 মিলি.গ্রামের ফলিক এসিড ঔষধ সেবন
  • ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া গর্ভকালে কোন ঔষধ সেবন না করা
  • প্রচুর বিশ্রাম করা
  • হালকা ব্যায়াম করা
  • সুষম খাদ্য গ্রহণ
  • রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার বা নাড়াচাড়া থেকে বিরত থাকা
  •  ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সংক্রামক প্রতিষেধক গ্রহণ
  • ধূমপান, মদপান থেকে বিরত থাকা

জন্মগত ত্রুটি কেন হয় ?

অধিকাংশ জন্মগত ত্রুটির কোন কারণ জানা যায়না। তবে বংশগত ও পারিপার্শ্বিক কারণে এবং গর্ভকালীন সময়ে মায়ের সঠিক যত্নের অভাব হলে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ফলিক এসিড না খেলে জন্মগত ত্রুটি দেখা দিতে পারে।

কাদের জন্মগত ত্রুটিযুক্ত সন্তান জন্মদানের সম্ভাবনা রয়েছে ?

যাদের জন্মগত ত্রুটিযুক্ত সন্তান জন্মদানের সম্ভাবনা রয়েছে তারা হলেন :

  • অল্প বয়সে সন্তান ধারণ করলে
  • পঁয়ত্রিশ বছর বয়সের বেশি বয়সী মহিলাদের
  • গর্ভকালীন সময়ে কিছু ঔষধ এই ঝুঁকি বাড়াতে পারে
  • বংশগত কারণে
  • গর্ভকালীন সময়ে হাম, মামস, ছোঁয়াচে ইত্যাদি রোগ হলে
  • যারা ধূমপান ও মদপান করেন