গরমে সুস্থ থাকতে যা করবেন

শেয়ার করুন

সুচিপত্র

গরমে অসুস্থতার ভয়ে অনেক ধরনের খাবার এড়িয়ে চলেন অনেকই। শরীরের পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা প্রত্যেক ঋতুর অনুযায়ী আলাদা। গ্রীষ্মকালে বিশেষত প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এমন খাবার রাখতে হবে যা সহজে হজম হয়। ডিহাইড্রেশন ঘটাবে না এমন খাবার বেশি করে খেতে হবে।

দেখে নিন কী কী খাবার এড়িয়ে চলবেন আর কী কী খাবার খাবেন:

রোদ থেকে ফিরে ঠান্ডা পানি খাবেন না:

গরমে রোদ থেকে ফিরেই ঠান্ড পানি খাবেন না। এর মূল কারণটা হল, সূর্যের তাপের মধ্যে থাকার পর সাথে সাথে ঠান্ড পানি খেলে দৈহিক গঠনতন্ত্রে সমস্য হতে পারে। এর ফলে গলায়ও সমস্যা হতে পারে এবং হজমের সমস্যা দেখা যায়।

বেশি ক্যাফিন খাবেন না:

গরম কালে ক্যাফিন এড়িয়ে চলুন। ক্যাফিনে ডিউরেটিক উপাদান রয়েছে। আর এই উপাদান শরীরে পানির মাত্রা কমিয়ে দেয়। তাই গরমকালে খুব বেশি কফি বা চা খেলে মাথা ব্যাথা হতে পারে এবং শরীরে পানি কমে যেতে পারে।

ঠান্ডা পানীয় ও জুস এড়িয়ে চলুন:

ঠান্ডা পানীয় ও জুসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে চিনি। এই ধরেনের খাবার সাময়িকভাবে আপনার শক্তিকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। তবে কয়েক দিন পরেই এর উল্টো ঘটনা ঘটতে পারে। তাই ঠান্ডা পানীয় ও জুস জাতীয় পানীয় এড়িয়ে চলুন। তবে প্রাকৃতিক চিনিসমৃদ্ধ তাজা ফলের জুস পান করতে পারেন।

ক্র্যাশ ডায়েট বন্ধ করুন:

অনেক মানুষই গ্রীষ্মকালে ওজন কমাতে তৎপর হয়ে ওঠেন। দ্রুত ফলাফল পাওয়ার আশায় অনেকেই অন্য ধরনের ডায়েটে করা শুরু করেন। যার ফলে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ক্র্যাশ ডায়েটিং আলস্য, মাথা ব্যাথা, বমি ভাব এবং ডায়রিয়ার কারণ হতে পারে।

ডিম, মাছ ও চিকেন:

ডিম, মাছ ও চিকেন শরীরে অত্যধিক তাপ উৎপন্ন করে এমন একটি ভুল ধারণা রয়েছে অনেকের। এই কারণে গ্রীষ্মের সময় অনেকেই এসব খাবার এড়িয়ে চলেন। এই তিনটি খাবারই চর্বিযুক্ত প্রোটিন সমৃদ্ধ। গরমকালে স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। তবে আপনি গ্রীষ্মের সময় মাটন, গরুর মাংস এড়িয়ে চলতে পারেন।