হার্টের রোগীর খাদ্য তালিকা

শেয়ার করুন

সুচিপত্র

হৃদরোগ একটি জটিল রোগ। এ রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শে জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাস মেনে চললে হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণ ও এর বিভিন্ন জটিলতা এড়িয়ে চলতে পারে।

করোনারি হৃদরোগীদের জন্য খাদ্য নির্দেশনা

*    কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ ও সম্পৃক্ত (saturated) ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া বাদ দিতে হবে।

ডিমের কুসুম (ডিমের সাদা অংশ খাওয়া যাবে), কলিজা, মাছের ডিম, খাসি-গরুর চর্বিযুক্ত মাংস, হাঁস-মুরগির চামড়া, হাড়ের মজ্জা, ঘি, মাখন, ডালডা, মার্জারিন, গলদা চিংড়ি, নারকেল এবং এগুলো দিয়ে তৈরি খাবার।

বেশি করে খেতে হবে

আঁশযুক্ত খাবার যেমন-

*    সব রকমের ডাল, বিশেষত ছোলার ডাল।

*    সব রকম শাক বিশেষত পুঁইশাক।

*    সবজি বিশেষত খোসসহ সবজি যেমনÑ ঢ্যাঁড়শ, বরবটি, শিম, কচুর লতি ইত্যাদি।

*    টকজাতীয় ফল বিশেষত খোসাসহ ফল। যেমনÑ পেয়ারা, জাম্বুরা আমলকি ইত্যাদি।

উপকারী ফ্যাট ও অসম্পৃক্ত ফ্যাটজাতীয় খাবার বেশি খেতে পারেন

*    সব রকমের মাছ বিশেষত সমুদ্রের মাছ, ছোট মাছ, মাছের তেল ইত্যাদি।

*    উদ্ভিজ তেল, বিশেষত কর্ন অয়েল, সানফ্লাওয়ার অয়েল, সয়াবিন তেল ইত্যাদি।

হিসাব করে খেতে হবে

(ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস গাইড ও বইয়ের নির্দেশ অনুযায়ী খেতে হবে)

*    শর্করাজাতীয় খাবার : ভাত, রুটি (ময়দা বা সাদা আটার চেয়ে লাল আটা ভালো), আলু, মিষ্টি আলু ইত্যাদি।

*    মিষ্টি ফল যেমন- পাকা আম, পাকা কলা, পাকা পেঁপে ইত্যাদি।

*    দুধ ও দুধের তৈরি খাবার।

পরিহার করতে হবে

বিভিন্ন ধরনের ফাস্টফুড- কেক, পুডিং, বার্গার, স্যান্ডউইচ, আইসক্রিম, বোতলজাত  কোমল পানীয়।

হৃদরোগ একটি জটিল রোগ। এ রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শে জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাস মেনে চললে হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণ ও এর বিভিন্ন জটিলতা এড়িয়ে চলতে পারে।

করোনারি হৃদরোগীদের জন্য খাদ্য নির্দেশনা

*    কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ ও সম্পৃক্ত (saturated) ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া বাদ দিতে হবে।

ডিমের কুসুম (ডিমের সাদা অংশ খাওয়া যাবে), কলিজা, মাছের ডিম, খাসি-গরুর চর্বিযুক্ত মাংস, হাঁস-মুরগির চামড়া, হাড়ের মজ্জা, ঘি, মাখন, ডালডা, মার্জারিন, গলদা চিংড়ি, নারকেল এবং এগুলো দিয়ে তৈরি খাবার।

বেশি করে খেতে হবে

আঁশযুক্ত খাবার যেমন-

*    সব রকমের ডাল, বিশেষত ছোলার ডাল।

*    সব রকম শাক বিশেষত পুঁইশাক।

*    সবজি বিশেষত খোসসহ সবজি যেমনÑ ঢ্যাঁড়শ, বরবটি, শিম, কচুর লতি ইত্যাদি।

*    টকজাতীয় ফল বিশেষত খোসাসহ ফল। যেমনÑ পেয়ারা, জাম্বুরা আমলকি ইত্যাদি।

উপকারী ফ্যাট ও অসম্পৃক্ত ফ্যাটজাতীয় খাবার বেশি খেতে পারেন

*    সব রকমের মাছ বিশেষত সমুদ্রের মাছ, ছোট মাছ, মাছের তেল ইত্যাদি।

*    উদ্ভিজ তেল, বিশেষত কর্ন অয়েল, সানফ্লাওয়ার অয়েল, সয়াবিন তেল ইত্যাদি।

হিসাব করে খেতে হবে

(ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস গাইড ও বইয়ের নির্দেশ অনুযায়ী খেতে হবে)

*    শর্করাজাতীয় খাবার : ভাত, রুটি (ময়দা বা সাদা আটার চেয়ে লাল আটা ভালো), আলু, মিষ্টি আলু ইত্যাদি।

*    মিষ্টি ফল যেমন- পাকা আম, পাকা কলা, পাকা পেঁপে ইত্যাদি।

*    দুধ ও দুধের তৈরি খাবার।

পরিহার করতে হবে

বিভিন্ন ধরনের ফাস্টফুড- কেক, পুডিং, বার্গার, স্যান্ডউইচ, আইসক্রিম, বোতলজাত  কোমল পানীয়।

রক্তনালি (Vascular) রোগীদের জন্য পরামর্শ

*    ধূমপান, জর্দা, সাদা পাতা, গুল, নস্যি পরিহার করবেন।

*    খালি পায়ে হাঁটবেন না।

*    পা সব সময় শুকনো রাখবেন।

*    হাত ও পায়ের নখ সাবধানে কাটবেন।

*    নিজে নিজে পায়ের বাড়া কাটবেন না।

*    হাঁটার সময় পায়ের আঘাত এড়িয়ে চলুন।

*    আরামদায়ক নরম জুতা পরবেন।

*    উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং রক্তের অস্বাভাবিক চর্বি নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

*    মাইগ্রেনজাতীয় ব্যথার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাবেন না।

*    কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ খাবার যেমন গরু, মহিষ, খাসির মাংস, ডিমের কুসুম, বড় চিংড়ি, মাছের মাথা, কলিজা, মগজ ভুঁড়ি, নারকেল, ঘি, মাখন পরিহার করুন।

*    যাদের ‘ভেরিকোস ভেইন’ আছে তাদের একনাগাড়ে অধিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা/পা ঝুলিয়ে বসে থাকা ঠিক নয়। ক্রেব ব্যান্ডেজ অথবা ইলাস্টিক মোজা পরে হাঁটতে পারলে ভালো। রাতে পায়ের নিচে বালিশ রেখে ঘুমালে ভালো।

*    হাঁটতে গেলে যদি পায়ের মাংসপেশিতে ব্যথা হয়, তবে বুঝতে হবে রক্তনালিতে রোগ থাকতে পারে।

*    গলায়, পেটে, হাতে অথবা পায়ে যে টিউমার লাফায় অথবা রক্তনালির খুব কাছে অবস্থিত তার চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন।

*    রক্তনালির দুর্ঘটনাজনিত আঘাতের জন্য দ্রুত জরুরি বিভাগে যোগাযোগ করুন।