আলসার নেই, তবু ব্যথা

শেয়ার করুন

সুচিপত্র

পেটব্যথা, জ্বালা, পেটে অস্বস্তি বা জ্বালাপোড়া হলে প্রথমে ধরে নেওয়া হয় যে পেপটিক আলসার হয়েছে। পেপটিক আলসার মানে পাকস্থলি ও এর পরের অংশে কোন ক্ষত বা প্রদাহ। পাকস্থলির গায়ের আবরণ ও নিঃসৃত অ্যাসিডের ভারসাম্য নষ্ট হলেই এই আলসার হয়। এন্ডোস্কোপি করলে ক্ষত বা আলসার দেখা যায়। কিন্তু আলসার নেই, তবু পেটে ব্যথা, অস্বস্তি, বমি ভাব, অল্পতে পেট ফাঁপা, পেটে জ্বালা ইত্যাদি উপসর্গ থাকলে তাকে নন আলসার ডিসপেপসিয়া বলা হয়। যদিও আলসারের মতোই এই উপসর্গগুলো অ্যান্টাসিড, খাবার ইত্যাদি খেলে কমে। এই সমস্যা নারীদেরই বেশি।

মধ্যবয়স্ক নারীরা এ ধরনের ডিসপেপসিয়ায় বেশি ভোগেন। উদ্বেগ, টেনশন, মানসিক চাপ, বিষণ্নতা, শৈশবের কোনো ব্যথাময় স্মৃতি, ধূমপান এই রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। চিকিৎসকেরা রক্ত পরীক্ষা ও এন্ডোস্কোপি করে নিশ্চিত হতে পারেন যে পাকস্থলিতে কোনো ক্ষত বা প্রদাহ, সংক্রমণ নেই। সাধারণ গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ, অ্যান্টাসিড ইত্যাদি দিয়েই চিকিৎসা করা হয়, কখনো বিষণ্নতা ও মানসিক চাপ কমানোর ওষুধও দেওয়া হয়। তবে এই সমস্যার পরিত্রাণে রোগী নিজেই কিছু ভূমিকা রাখতে পারেন।

• অল্প অল্প করে বারবার খাবেন। একসঙ্গে বেশি খেয়ে ফেলবেন না। আবার অনেকক্ষণ না খেয়েও থাকবেন না।

• তেল ও চর্বিযুক্ত খাবার, মসলাদার খাবার, কফি এড়িয়ে চলাই ভালো।

• নাশতা হিসেবে শুকনো খাবার যেমন ক্র্যাকার্স, মুড়ি ইত্যাদি খাবেন। প্রতিদিন কিছু তাজা ফল খান।

• খাওয়ার পরই শুয়ে পড়বেন না। রাতে দেরি করে খাবার খাবেন না।

• মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমালে সমস্যা অনেকটাই কমে যায়। শিথিলায়ন, যোগব্যায়াম করুন, মন ফুরফুরে রাখুন। প্রয়োজনে মনোবিদের সাহায্য নিতে পারেন।

• শুকনো আদা, পেপারমিন্ট ইত্যাদি চিবুলে সমস্যা অনেকটা কমে।